KNOWLEDGE & WISDOM

WISDOM BLOG offers a Complete Science Guide to Students from Foundation to Advance Level. You Will Get H. C. Verma, I. E. Irodov, D. C Pande Solution, Physics Study Materials, Notes, Suggestion, Mock Test Papers, Free Download PDF Books and Many Science Resource for NTSE, KVPY, Olympaid, IIT, JEE, NEET, WBJEE, Nursing Aspirants and Useful Resource for Competitive Examination Like Rail, Bank, P. Sc, SSC etc.

বাস্তব জগত ও অনলাইনের জগতের মধ্যে দূরত্ব ঠিক কতটা?



আপনাকে নিজেকে সস্তার জনপ্রিয়তা নিয়ে ও পাবলিক আইটেম হতে নিরুৎসাহী করা এবং তার জন্যে নিজের ছবি বা ভিডিও যেকোনও সোশ্যাল সাইটে আপলোডে বিপদের কিছু নমুনা


যারা সেলিব্রিটি তাদের কথা:
সেলিব্রিটি কারা ???
যারা আমাদের সমাজের আইকন (Icon) বা মডেল - তাদের জীবনযাপন, কালচার, রীতি, পোশাক-আশাক, নৈতিক চরিত্র, কথা-বার্তা আমরা তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করি। তাদের উপদেশ মেনে চলার চেষ্টা করি। তাদের মতো পোশাক-আশাক, মাথার চুলের স্টাইল, গহনা এসব ব্যবহার করি কারণ আমাদের ও জনমানসে আমরা তাদের Follow বা অনুসরণ করি অর্থাৎ আমরা হলাম তাদের ফলোয়ার (Follower)।
বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা, কোম্পানী (পোশাক, গহনা, প্রসাধনী) তাদের তৈরি জিনিস ... বাজারে প্রচুর বিক্রয় করার জন্যে এই সমস্ত সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করা হয়। যেমন টিভিতে, নিউজ-পেপারে কোয়েল মল্লিক আজ এক নতুন সাবানের বিজ্ঞাপন দিলে দেখা যায় পরের দিন ওই কোম্পানীর ওই সাবানটি কেনার জন্যে ভীড় জমে যায়। পোশাকের ব্যাপারেও সমানভাবে প্রযোজ্য। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রতি বছর পূজোর ঠিক আগে সিরিয়ালের কোনও নায়িকার নামেই পোশাকটা মার্কেটে আসে। ঝিলিক জামা, পরী জামা এখন চলছে রাসমনি ব্লাউজ এর সিরিজ ...
ঠিক এমনিভাবেই এইসব কোম্পানী একটা প্রোডাক্ট ডিজাইন করে সেটিকে মার্কেট করার জন্যে, ওইটি আইটেম বস্তু হিসাবে সেলিব্রিটিদের ব্যবহার করে জনমানসের মনে ছড়িয়ে দেওয়া হয় – যাদের মাধ্যমে বা যেখান থেকে আপনি জানতে পারছেন তারাই সেলিব্রিটি। এইসব সেলিব্রিটিরা এর বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা পায় এসব কোম্পানী থেকে।

যেমন মনে করুন:
টি. এম. টি বারের বিজ্ঞাপন – সৌরভ গাঙ্গুলী
কলগেটের বিজ্ঞাপন – করিনা কাপুর
সাবান, তেল, শ্যাম্পু ... সবই দেখেছেন সবাই – (নায়িকাদের চিনি না)
তবে বিজ্ঞাপনের দৌলতে খুব খারাপ কোয়ালিটির জিনিসকেও মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে খুব ভালো উন্নত কোয়ালিটি তৈরি করা যায়। এটাই বাস্তব!

এখানে যারা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে সশরীরে – তারা সশরীরেই কোটি কোটি টাকা পাচ্ছে। আর যেখানে ছবি, ভিডিও বা Text অ্যাড হিসাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, অ্যাপস খুললে দেখতে পাওয়া যায় সেখানে টাকা পায় ওই সমস্ত ওয়েবসাইট বা অ্যাপটা যে বানিয়েছে। আপনি এই Helo অ্যাপ এর কথাই ভাবুন। পোষ্ট দেখতে দেখতে আমরা পাই অন্য কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করার অফার। এক্ষেত্রে Helo নেটওয়ার্ক ইনকাম করছে। এই ইনকামের হিসাব একটু অন্যরকম।

ধরাযাক কোনও একটি অ্যাড ১০০০ বার দেখা হলে ইনকাম প্রায় ১ ডলার
যদি ওই অ্যাডটিতে ক্লিক পড়ে তাহলে ইনকাম প্রায় ১০ গুণ আর ওই অ্যাড ক্লিক করার ফলে যদি কেউ অ্যাপ ইনস্টল করে ইনকামের মাত্রাটা আরও বেশি। এবার সারা ভারতে সারাদিনে কয়েক লক্ষ কোটি কোটি বার দেখানোর জন্যে দিনে যা ইনকাম হয় তাতে Helo আপনাকে মাঝে মাঝে Gift বা Cash উপহার দেয়। তো ১০০ টাকা কেউ আপনার কাঁধে ভর করে ইনকাম করার পর যদি আপনাকে বেঁধে রাখার জন্যে ১ টাকা দেওয়া যায় মন্দ কি???
তাতে আপনি এই নেটওয়ার্ক ছেড়ে যাবেন না, থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।
তো সেলিব্রিটি দের নিয়ে বলছিলাম। সেলিব্রিটিরা খুব শান্তিতে আছে তা নয়। তারা আমাদের মতো রাস্তা ঘাটে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে না। পাবলিক দেখতে চাইবে সামনে থেকে। ভীড় জমাবে। আমাদের টিকিট কেটে দেখতে যেতে হয়। আচ্ছা এবার অন্য এক বিষয় –
ইন্টারনেটে Google এ টাইপ করবেন –
Nude Picture of (কোনো সেলিব্রিটির নাম) যেমন,
Nude Picture Koyel Mallik এরকম।

বেরিয়ে পড়বে অনেক ছবি। তাহলে ওই ছবিগুলো কি আসল? ওনারা কি নগ্ন ছবি বা ভিডিও করেছেন কখনো?
কখনোই নয়। আসলে এটা একটা Cyber অপরাধ মূলক কাজ। এখানে ওই সমস্ত নায়িকাদের গলা থেকে মুখটা ক্রপ করে অন্য কোনো নুড ছবি বা ভিডিওর ওপর পেস্ট করে দেওয়া হয় এবং ছড়িয়ে দেওয়া হয় এরকম সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাবলিক সত্য মিথ্যা সবই জানে। তবুও অপরাধ মূলক কাজ করা দেখা একরকমের নিজেকে অন্যরকম ভাবা একটা আলাদা অ্যাডভেঞ্চার ফিল করা। কিন্তু এই সমস্ত অনৈতিক কাজ করার ফলে সেলিব্রিটিদের জীবনে কি কোনও প্রভাব পড়ে??? কোনও প্রভাব পড়ে না। তাদের এতে কিচ্ছু এসে যায় না।
এবার আপনার কথা একটু ভাবুন। এ পর্যন্ত আপনিও অনেক নিজের ছবি, ভিডিও সবই নানারকম সোশ্যাল সাইটে আপলোড করেছেন। বিনিময়ে পাওয়া গেছে –
(1) হাজার হাজার Follower (অনুসরণকারী)
(2) কোটি কোটি লাইক (ইমোজির মাধ্যমে)
(3) কোটি কোটি কমেন্ট (Text Massage এর মাধ্যমে)
(4) কোটি কোটি শেয়ার (এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, গুগুল, টুইট্যার, হেলো, ভিগো, টিকটক ... ও বিভিন্ন গ্রুপে হাজার হাজার জনের মধ্যে আপনার ছবি ও ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। আপনার ছবি হচ্ছে কারোর ফোনের ওয়ালপেপার। আপনার ছবি পকেটে পকেটে ঘুরছে)

অনেকের Follower সংখ্যা দেখেছি 1M, 26K এরকম। মানে তাদেরকে অনুসরণ করছে এতজন। করেও হয়তো। কারণ ফলোয়ার বাড়াতে গেলে ভালো পোষ্ট নয়, ভালো নিজের ছবি (একটু হালকা Cleavage সহ), ভিডিও পোষ্ট করতেই হয়।
ভেসে আসে লাইকের বন্যা ....
উড়ে আসে কমেন্টে ... ভাষার ফুলঝুরি
উফঃ দারুন ...
উফঃ দারুন সেক্সি বৌদি ...
বৌদি তোমার হোয়াটসঅ্যাপ টা দেবে ...
কেমন আছো সোনা ...
প্রেম করবে ? ...
বিয়ে করবে বলোনা? আমি যে থাকতে পারছি না ...
তোমার দুটো খুব বড়ো ও নরম ...
... ... ...
আরও এরকম অনেক কিছু !!!
নিশ্চই এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেশি ভেতরে আর গেলাম না। প্রয়োজনে কমেন্টে জানালে
Proof দেখাতে পারবো।

কয়েকজনের সাথে আলাপ হয়েছিল। তাদের বক্তব্য: না ছেলেদের এমন কমেন্ট বা কথা বলার অতি আগ্রহ বা লাইক বেশ আমরা Enjoy করি। ভালো লাগে। মানলাম তাই হোক। কিন্তু জীবনের গতিপথে যাদেরকে ফলো করা নজর করা দরকার, আমরা তাদের সেরকম না করে, আসতে আসতে চলে যাচ্ছি একদম ডুবে যাচ্ছে এক কাল্পনিক অর্থাৎ ভার্চুয়াল জগতে। যেখানে রিয়েলিটি বলে কিছু নেই। আমি কোনো বিপদে পড়লে সেটা মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক যাই হোক ... এই 90K আমার অনুসরনকারীদের মধ্যে কি একজনকেও পাবো যে আমার পাশে থাকবে, বলবে চিন্তা কোরোনা আমি আছি তো !!! ভাবুন ও ভাবতে থাকুন !

হুম পাবেন। হয়তো আমি এগিয়ে যাবো আপনাকে সাহায্য করতে। আপনি আমাকেও সশরীরে কখনো দেখেননি। বল্লাম জীবন্তপুরের বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতে। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলেন জীবনে অনলাইনে পাওয়া প্রিয় বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ হবে। সাক্ষাৎ হলো। আমার কিন্তু কাদা মনে সাদা নেই !!! তারপর আপনার কিছু মনেও নেই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আপনি বাড়ী থেকে 400km দূরে !!!

এই হচ্ছে বাস্তব জগত আর নেট দুনিয়ার কাল্পনিক জগতের মধ্যে দূরত্ব।
এখানে যে ছেলেটি একটি ধর্ষণ ঘটে গেলে বলছে – বিচার চাই, Encounter করা হোক, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হোক বা আরও কতকিছু Key-board টাইপ করা প্রতিবাদের ঝড়, সেই ছেলেটিই ম্যাসেজে বা কমেন্টে আপনাকে লিখছে – Hii Sexy !!!
ভাবুন, ভাবতে থাকুন আর ভাবতে শেখান!!!

আপনি ওই নকল সেলিব্রিটি হওয়ার জন্যে দৌড়চ্ছেন, দৌড়ান। আপনার ছবিগুলো, ভিডিও গুলো Save হয়ে যাচ্ছে অন্য ফোনে, Copy হয়ে যাচ্ছে অন্য ফোনে, তৈরি হচ্ছে নকল মানে একই নাম, ঠিকানায় ডুপ্লিকেট আইডি। তাতে পোষ্ট হচ্ছে আপনারই ছবিগুলো কিন্তু নগ্ন। যখন আপনি দেখবেন – একটাই রাস্তা খোলা – সুইসাইড। Cyber Cell এ অভিযোগ জানাবেন, কাঁচা হাতে ব্যবহারকারী এসব করে থাকলে ধরা পড়বেই। কিন্তু পাকা হাতে এসব কাজ করলে বিশ্বের কোনো গোয়েন্দা নাগাল পাবে না। ফল আপনাকে সুইসাইড পর্যন্ত যেতে হতে পারে। যাবেই সেটা বলিনি কিন্তু হতেও তো পারে।
আমি দেখেছি একজনের পোষ্ট তার ছবি ভিডিও নতুন করে পোষ্ট হচ্ছে, পোষ্ট করছে অন্য একজন। প্রশ্ন এখন, সে কি করে আপনার ছবি পেলো??? এটা কার দোষ ???

আমি দেখেছি অ্যাকাউন্টে নাম রয়েছে –
আমির খান বাস্তবে সে শ্রীনিবাস চৌধুরী
সেক মফিজুল বাস্তবে সে অমর পাল
বিবেক দত্ত বাস্তবে সে আরমান হাসান
লিগা পারভিন বাস্তবে সে সুনির্মল কর
সোনালি দত্ত বাস্তবে সে সেক আরফাজ
তাই আপনি যাকে দেখছেন, সেটা কতটা আসল, কতটা নকল বোঝা মুশকিল। এই অনলাইনে রিয়েলিটি রয়েছে ১% (শুধুমাত্র ভেরিফায়েড আইডেনটিটি গুলো) বাকীগুলো আসল নকল মিশিয়ে রয়েছে। এর বেশি বলবো না। তারমানে আপনি রয়েছেন এক বড় রকমের ধোঁয়াশায় ...

কোথা থেকে কি হবে বোঝা মুশকিল। আমরা বড় ভুল করি, অজানা অচেনা মানুষদের বন্ধুতালিকায় যোগ করা। আমরা যাকে জানি চিনি বাস্তবে, তাকেই দেখেছি সে কেমন চিটিংবাজ হয়, আর অজানা অচেনা দের এমন হঠাৎ করে বিশ্বাস কোথা থেকে আসবে??? কিন্তু আমাদের আসে। এবার এতসব কিছু ভেবে বলুন, আপনার পরের জেনারেশন কে ঠিক আপনি যা করছেন, তাদেরকেও পারমিশান দেবেন তো ঠিক এরকম আপনার মতোই। তখন যদি বলেন দেখ মা, এসব ভালো না বা ছেলেকে যদি বলেন, এখন ফোন হাত দিতে নেই .... আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন।
কেন ফোন হাত দিতে নেই?
আপনি যা করছেন তা কি ঠিক?
আপনি বিপদে পড়বেন না তো?
আপনি দিন দিন সস্তা হয়ে যাচ্ছেন। আপনি দিনদিন পাবলিক মানে সার্বজনীন হয়ে যাচ্ছেন। জানি না এই বিষয়টা আমার খুব গায়ে লাগে। তাই বল্লাম।

এখানে দেখেছি অনেক মেয়ে, মা, বৌদি, বোন, দিদি, বান্ধবী .... যার কাছে যেমন –
ইচ্ছাখুশী নিজের ছবি ভিডিও দিয়ে যাচ্ছে।

ভালোবাসা টা কি? বা কেমন? সেটা সত্যি জানি না, তবে – ভালোবাসার মানুষ থাকলে। অবশ্যই আমি ভাবি – এদের যারা রিয়েল বন্ধু, প্রেমিক বা স্বামী ... তারা ঠিক কেমন হয়? তারা তাদের নিজেদের এই প্রাণের মানুষকে কিভাবে? আর কি চোখে দেখেন? আমার তো মনে হয় – তারা ছবি দিতেই দিতো না।
কারণ এই ভালোবাসাটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে একটা হিংসা!
কেমন হিংসা???
(1) আমার প্রানের মানুষের দিকে যেন কেউ বাঁকা চোখে না তাকায়।
(2) কেউ যেন কু-নজর না দেয়। (পারলে লেবু-লঙ্কা গলায় ঝুলিয়ে রাখতাম আমি)
(3) যেদিন একটু বেশি সেজে কোথাও বেরোবে – আমি সঙ্গে যাবোই।
(4) যদি সে বলতো, আজ কলেজ থেকে ফেরার সময় চুড়িদার কাটাতে দর্জি দোকানে যাবো, মাপ দিতে হবে। আমি সময়টা জেনে নিয়ে ওই দর্জি দোকানে চলে যেতাম।
(5) যদি সে বলতো, আজ বাজারে যাবো ব্লাউজ কিনতে, নিয়ে যেতাম সঙ্গে, দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতাম।
(6) যদি সে বলতো, আমার আজ জিন্স আর টপ টা পরে মার্কেটে যাবো। তাহলে জিন্সের সাথে কুর্তিটা পরতে বলতাম আর ওড়না মাস্ট। তাও যদি আমার চোখে খুব আকর্ষণীয় লাগে – তাহলে পাল্টাতে বলতাম না। কিন্তু সঙ্গে যেতাম দুজনে হাত ধরে।
(7) যদি বলতো সবাই কি সুন্দর Helo, Sharchat, Facebook করছে। আমিও করবো। হুম করতে দিতাম অবশ্যই। তবে সবগুলোই আমার Account ই থাকতো ওর কাছে। উদ্দেশ্য তো Time-pass তাই নো-প্রবলেম ! আর দুজনের কাছে গোপনীয়তার কিছুই নেই।
(8) নিজের ছবি আপলোড ? কভি নেহি ! আমার প্রিয়জন শুধু আমার, তাকে বাইরের লোকের কাছে বিভিন্ন পোজের ছবির হাট বসিয়ে দেখানো অসম্ভব। কারণ ওটা আমার সম্পদ ও সম্পত্তি।
(9) যদি দেখতাম জিন্স-টপ পরে আমার মানুষ টাকে খুব উষ্ণ লাগে, আকর্ষণীয় লাগে (হালকা un-censored, বাধ্য হলাম বলতে), কখনোই পরে বাইরে বেরোতে দিতাম না। কিন্তু অনেক কিনে দিতাম! সব পরাতাম। দেখার অধিকার ও দেখানোর অধিকার শুধু দুজনের, তাই অবশ্যই শুধু দুজনের মধ্যেই! বলতাম না ওটা পরে আজ পার্কে এসো, তোমাকে খুব হট লাগে, সেক্সি লাগে! কারণ আমার মন হিংসার পরিপূর্ণ। আমি পাবলিককে দেখাতে ও কমেন্ট করার মোটেই সুযোগ দেবোই না। কারণ আমি হিংসুক!
না, সবাই যা ভাবছেন তা নয়। আমি আমার প্রিয়জনকে সন্দেহ করি না মোটেই। কিন্তু খুব ভয় পাই এই 4G সমাজ টাকে। যদি কেউ ভুলিয়ে ভূল বুঝিয়ে ভূল পথে নিয়ে যায়, যদি কোনো বিপদের সন্মুখীন হয়। খুব আকর্ষণীয় পোশাকে যদি অত্যন্ত ভালো লাগার কারণে, পাবলিকের চোখ ঠিকরে যায়, এবং Teasing করে, ওই Teasing গুলো মনে হয় আমার বুকে এসে লাগতো, ঠিক এটাই! কারণ আমি তাকে হারাতে খুব ভয় পেতাম।
ওসব ভালোবাসা যদিও অনেক কঠিন ভাষা, সাহিত্যিকের ভাষা। ওসব একদমই বুঝি না !!!

ভালোবাসা হওয়া উচিত:
ভালোবাসা কোনও সস্তা জিনিস নয়। সপ্তাহে ২ বার ডেটে বা পার্কে গেলে আর দিনে ১০০ বার মুখে I Love You বললেই ভালোবাসা হয়ে যায় না। “Jaan”, “Baby”, “Babu”, “Sona” এসব সম্বোধন করে ডাকলেই প্রমাণিত হয় না, সে তোমাকে ভালোবাসে কি না?
ভালোবাসতে Care লাগে, ভালোবাসতে Share লাগে। তোমাকে যে আসলেই ভালোবাসে, সে তার দিনের প্রতিটা মুহূর্তের কথা তোমার সাথে Share না করে থাকতেই পারবে না। এটা একটা একে অপরের প্রতি অদৃশ্য মায়াজালের Dependency। তার মনের ভেতরে উশখুশ করতে থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমার সাথে সবকিছু Share করতে পারছে, সে মনের মধ্যে একটুকুও শান্তি পাবে না। তোমাকে যে আসলে ভালোবাসে, সে তোমার দিনের প্রতিটা মুহূর্তে তোমার Care না করে থাকতে পারবে না। সকালে ভাঙলেই, বালিশের নীচ থেকে মোবাইলটা হাতড়ে বের করে সে তোমার খোঁজ নেবে। খোঁজ নেবে ক্লাসের ফাঁকে, খোঁজ নেবে কাজের ফাঁকে। হঠাৎ হঠাৎ তার মনে হবে – ও এখন কি করছে? দুপুরের খাওয়ারটা মুখে তোলার আগে মনে হবে – ও খেয়েছে তো? সে ব্যস্ততার অজুহাত দেখাবে না। বরং সে তোমার Care নিতেই ব্যস্ত থাকবে। সে শুধু হাসির ইমো, কান্নার ইমো দিবে না। বরং সত্যিকারের তোমাকে হাসাবে, সত্যিকারের তোমাকে কাঁদাবে ...। তারপর আলতো করে গাল থেকে অশ্রুটুকু মুছে দিবে। সত্যিকারের ভালোবাসাতে, সে প্রথমে তোমাকে ওই I Love You কথাটাই বলতে লজ্জা পাবে, কারণ – তোমাকে তোমাকে একটা হারানোর ভয়ে। যদি ও আমায় খারাপ ভাবে এই ভয়ে।

শরীরের উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে Propose Day, Hug Day, Kiss Day এসবের অস্থিত্ব থাকলে, Break Up Day ও টিকে থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃত ভালোবাসায় শরীরি সম্পর্ক মুখ্য নয়। স্পর্শ ছাড়াই ভালোবাসা আজীবনকাল বেঁচে থাকে ভালোবাসায়।
আসলে ভালোবাসা, খুব একটা কঠিন জিনিস না। বরং ভালোবাসার মর্ম বোঝে এমন মানব মানবীকে খুঁজে পাওয়াটাই বড্ড কঠিন। তাই সমস্ত সোশ্যাল সাইটে শোকের ছায়া ..

বিঃ দ্রঃ – আমি ভালোবাসার মর্ম বুঝি না, এটা শুধু একটা লেখামাত্র (Just An article, no debate) ।

যদি আপনার বয়ফ্রেন্ড পার্কে, নামী রেস্টুরেন্টে, সিনেমা হলের বক্সে, ভ্যালেনটাইন্‌স ডে সেলিব্রেশনে বা যেকোনও অজুহাতে আপনার শরীর ছোঁয়ার আবদার করে – (সোনা – তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না?) তাহলে তার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিন। বলুন এই টাকাটা নিয়ে কোনও যৌনকর্মীর কাছে গিয়ে শরীরের উত্তেজনা প্রশমিত করে আসতে। সগর্বে বলুন আমি বেশ্যা নই। ভালোবাসা সেটাই, যেখানে কাউকে ঘটা করে Propose করতে হয় না। ভালোবাসা মন ও মস্তিষ্ক থেকেই জন্ম নেয়। তাই ভালোবাসায় শারিরীক ছোঁয়াটা একেবারেই গৌণ। কারণ শারিরীক উত্তেজনা জীব মাত্রই থাকবে। এটি জৈবিক চাহিদা প্রতি মানুষের (নারী ও পুরুষ)। কিন্তু শারিরীক উত্তেজনা প্রশমনে শরীর ছোঁয়াটা ভালোবাসা নয়। এটিই প্রকৃত ভালোবাসার মাপকাঠি হলে বা প্রকৃত ভালোবাসা প্রমাণ দিতে হলে যদি তাই সঠিক হয়, তাহলে আমার চোখে খুব ভালো প্রেমিকা হল যৌনকর্মীরা।

যে আপনার মনটা পাবে, সে একদিন শরীরও পাবে। সত্যিকারের ভালোবাসায় ব্রেক-আপ শব্দটি নেই। আছে সেটি মিলন না হওয়া (একসাথে না থাকা)। পরিস্থিতি সরিয়ে রাখতে পারে দুজনকে, কিন্তু ভালোবাসাটা নষ্ট হয়ে যায় না। তাই যে আপনাকে বৈধভাবে কাছে পাওয়ার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না পারবে, অবিলম্বে তার হাত ছেড়ে দিন। মনে রাখবেন, পেট ভর্তি থাকলে খিদে ভাবটা থাকে না। শরীর নিয়ে খেলা করার বিষয়গুলিকে ভালোবাসা বলে, ভালোবাসাকে কলঙ্কিত করবেন না। এতে ভালোবাসার অপমান হয়।

ভালোবাসায় শরীর এবং শারিরীক গঠন নিরপেক্ষ। ফর্সা, কালো, মোটি, স্লিম ... It doesn’t matter. মন উড়তে উড়তে কোথায় বসবে, আগে থেকে জানা সম্ভব নয় আর তাই প্ল্যান করারও কোনো রাস্তা নেই। মনের মধ্যে খুব অভাব বোধ করা, নিজের চত্বরে থাকলে নিজেকে Fulfill ভাবা অথচ I Love You বলতেই লজ্জা ... হয়তো এটাই সেই ভালোবাসা...

তাহলে কি বুঝলেন?
(1) নিজেকে সস্তা করবেন না।
(2) নিজেকে পাবলিক বস্তু বানাবেন না।
(3) নিজের ছবি কারোর পকেটে থাকতে দেবো না।
(4) নিজেকে বিপদগ্রস্থ ফেলার সুযোগ দেবো না।
(5) অনলাইনে অজানা অচেনা দের চিনতে ও জানতে মিনিমান ৬ মাস সময় নেওয়া উচিত। একদিনের মিষ্টি কথায় মনকে ভাষানো নয়।
(6) আপনি যা করবেন যেমন হবেন – আপনার পরবর্তী জেনারেশন তাই হবে।
(7) অনলাইনে Scammer ও Stanger সবাই, এটাই ভাববেন পরিচিতজন ছাড়া।
(8) সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত যে যার ব্যবসায় ব্যস্ত। এখানে আপনাকে ভর করে তারা ইনকাম করতে এসেছে।
(9) জোকস পড়ুন, আপনার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করুন কথায় ছবিতে মিম পোষ্টের মাধ্যমে।
(10) বাস্তব ও কাল্পনিক জগত টা সম্পর্কে অবহিত হোন।
(11) নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।


অনুরোধ করবো সবাইকেই, নিজের ছবি ভিডিও পোষ্ট না করতে।
অনুরোধ রইলো, সবাইকে সুচিন্তিত মতামত, আলোচনা, যেকোনো ধরণের গঠনমূলক আলোচনা, পরামর্শ সাদরে গ্রহন করা হবে। যেকেউ এখানের কমেন্ট সেকশনে বা ইমেইল মারফৎ জানাতে পারেন।

Email:
admin@111.school
admin@hemanta.app

No comments:

Post a Comment