KNOWLEDGE & WISDOM

WISDOM BLOG offers a Complete Science Guide to Students from Foundation to Advance Level. You Will Get H. C. Verma, I. E. Irodov, D. C Pande Solution, Physics Study Materials, Notes, Suggestion, Mock Test Papers, Free Download PDF Books and Many Science Resource for NTSE, KVPY, Olympaid, IIT, JEE, NEET, WBJEE, Nursing Aspirants and Useful Resource for Competitive Examination Like Rail, Bank, P. Sc, SSC etc.

মিশ্র পদার্থ, মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ | Class: VI, VII

মৌলিক পদার্থ, যৌগিক পদার্থ ও মিশ্র পদার্থ এবং তাদের পার্থক্ বা তুলনা
যেকোনও পদার্থের মধ্য উপস্থিত উপাদানগুলির প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে পদার্থগুলিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়।
(1) বিশুদ্ধ পদার্থ
(2) মিশ্র পদার্থ

এই বিশুদ্ধ পদার্থ আবার দুইরকম হতে পারে:
(1) মৌলিক পদার্থ
(2) যৌগিক পদার্থ

এবং মিশ্র পদার্থ আবার দুই ধরণের হতে পারে:
(1) সমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ
(2) অসমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ

বিশুদ্ধ পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থ শুধুমাত্র একটি উপাদানের পদার্থেরই দ্বারা গঠিত হয়, অন্য কোনও পদার্থের উপাদান মিশে থাকে না, তাদের বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।
যেমন: বিশুদ্ধ জল, লোহা, সোনা, তামা, বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন ইত্যাদি।

এই বিশুদ্ধ পদার্থ আবার দুই ধরণের হতে পারে।
(1) মৌলিক পদার্থ
(2) যৌগিক পদার্থ

মৌলিক পদার্থ: যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থের একই ধর্মের একটিমাত্র উপাদান কণিকা ছাড়া অন্য কোনো পৃথক ধর্মের পদার্থের উপাদান কণিকা পাওয়া যায় না, তাদের মৌলিক পদার্থ বলে।
পৃথিবীতে এই রকম মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 109 টি। এদের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় কতকগুলি পদার্থ কঠিন, কতকগুলি পদার্থ তরল এবং কতকগুলি পদার্থ গ্যাসীয় হয়।
যেমন:
কঠিন মৌলিক পদার্থ: সোনা, রূপা, তামা, দস্তা, গন্ধক, সীসা, কার্বন ইত্যাদি
তরল মৌলিক পদার্থ: পারদ, ব্রোমিন ইত্যাদি
গ্যাসীয় মৌলিক পদার্থ: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ক্লোরিন, আর্গন ইত্যাদি। সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি

মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
(1) যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থের উপাদান কণিকা ছাড়া অন্য কোনো পৃথক ধর্মের পদার্থের উপাদান কণিকা পাওয়া যায় না, তাদের মৌলিক পদার্থ বলে।
(2) মৌলিক পদার্থ সহজে তৈরি করা যায় না।
(3) মৌলিক পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে।
(4) মৌলিক পদার্থ একই রকম উপাদান কণিকা দ্বারা গঠিত।

যৌগিক পদার্থ: দুই বা ততোধিক আলাদা আলাদা ধর্মের মৌলিক পদার্থের উপাদান কণিকা, নির্দিষ্ট ওজন অণুপাতে পরস্পর রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা যুক্ত হয়ে যে ভিন্ন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ রাসায়নিক ভাবে যুক্ত হয়ে যৌগিক পদার্থ গঠন করলেও, এই মৌলিক পদার্থের উপাদান কণিকাগুলির ধর্ম ও চরিত্রের সঙ্গে যৌগিক পদার্থের ধর্ম ও চরিত্রের কোনো মিল থাকে না।
যেমন: অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হয় জল, কার্বন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, সোডিয়াম ও ক্লোরিন যুক্ত হয়ে তৈরি হয় সাধারণ লবণ ইত্যাদি। এখানে জল, কার্বন ডাইঅক্সাইড, খাদ্যলবণ ... এগুলো হল যৌগিক পদার্থ।

যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
(1) দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যেকোনো ওজন অনুপাতে মিশিয়ে যদি এমন পদার্থ পাওয়া যায় যাতে, মিশ্রিত ভিন্ন ভিন্ন পদার্থগুলি তাদের নিজেদের ধর্ম বজায় রাখে, তবে সেই পদার্থকে মিশ্র পদার্থ বলে।
(2) মিশ্র পদার্থ যে কোনো সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি করা যায়।
(3) মিশ্র পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নেই।
(4) মিশ্র পদার্থ বিভিন্ন রকম উপাদান কণিকা দ্বারা গঠিত।

মিশ্র পদার্থ: দুই বা ততোধিক আলাদা আলাদা ধর্মের মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যেকোনো ওজন অনুপাতে শুধু মিশিয়ে যদি এমন পদার্থ পাওয়া যায় যাতে, মিশ্রিত ভিন্ন ভিন্ন পদার্থগুলি তাদের নিজেদের ধর্ম বজায় রাখে, তবে সেই পদার্থকে মিশ্র পদার্থ বলে।
যেমন:
বায়ু: অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ও জলীয় বাষ্পের মিশ্রন
শরবত: লবন, চিনি ও জলের মিশ্রন।
বারুদ: পটাশিয়াম নাইট্রেট, সালফার ও কাঠকয়লার মিশ্রন।
ধোঁয়া: বায়ু ও কার্বনের সূক্ষ মিশ্রন।
সোডা ওয়াটার: কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলের মিশ্রন।
পিতল: তামা ও জিঙ্কের মিশ্রন।
কাঁসা: তামা ও টিনের মিশ্রন।

মিশ্র পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
(1) মিশ্র পদার্থে উপাদান কণাগুলি পাশাপাশি থাকে।
(2) মিশ্র পদার্থে উপাদান কণাগুলির ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না।
(3) খুব সহজেই মিশ্র পদার্থ থেকে উপাদান কনাগুলিকে আলাদা করা যায়।
(4) যেকোনো ওজন অনুপাতে দুই বা ততোধিক পদার্থ মেশালেই মিশ্র পদার্থ তৈরি হয়।
(5) মিশ্র পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক বা স্ফটনাঙ্ক থাকে না।
(6) মিশ্রন সাধারণত অসমসত্ত্ব হয় তবে ব্যতিক্রম হল দ্রবণ যেখানে দ্রবণ হল একটি সমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ।

এই মিশ্র পদার্থ আবার দুইধরণের হয়:
(1) সমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ: এই ধরণের মিশ্র পদার্থে, পদার্থের প্রতিটা অংশের ভৌতধর্ম, প্রকৃতি সর্বদা সমান হয়।
যেমন: জলে চিনির দ্রবন, জলে লবনের দ্রবন ইত্যাদি

(2) অসমসত্ত্ব মিশ্র পদার্থ: এই ধরণের মিশ্র পদার্থে, পদার্থের প্রতিটা অংশের ভৌতধর্ম, প্রকৃতি আলাদা আলাদা হয়।
যেমন: জল ও কাদার মিশ্রন, বালি ও লোহাচূরের মিশ্রণ

মৌলিক পদার্থ ও মিশ্র পদার্থের পার্থক্য:
মৌলিক পদার্থ মিশ্র পদার্থ
(1) যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থের উপাদান কণিকা ছাড়া অন্য কোনো পৃথক ধর্মের পদার্থের উপাদান কণিকা পাওয়া যায় না, তাদের মৌলিক পদার্থ বলে। (1) দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যেকোনো ওজন অনুপাতে মিশিয়ে যদি এমন পদার্থ পাওয়া যায় যাতে, মিশ্রিত ভিন্ন ভিন্ন পদার্থগুলি তাদের নিজেদের ধর্ম বজায় রাখে, তবে সেই পদার্থকে মিশ্র পদার্থ বলে।
(2) মৌলিক পদার্থ সহজে তৈরি করা যায় না। (2) মিশ্র পদার্থ যে কোনো সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তৈরি করা যায়।
(3) মৌলিক পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক আছে। (3) মিশ্র পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নেই।
(4) মৌলিক পদার্থ একই রকম উপাদান কণিকা দ্বারা গঠিত। (4) মিশ্র পদার্থ বিভিন্ন রকম উপাদান কণিকা দ্বারা গঠিত।


যৌগিক পদার্থ ও মিশ্র পদার্থের পার্থক্য:
যৌগিক পদার্থ মিশ্র পদার্থ
(1) দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থের উপাদান কণিকা, নির্দিষ্ট ওজন অণুপাতে পরস্পর রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা যুক্ত হয়ে যে ভিন্ন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। (1) দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যেকোনো ওজন অনুপাতে মিশিয়ে যদি এমন পদার্থ পাওয়া যায় যাতে, মিশ্রিত ভিন্ন ভিন্ন পদার্থগুলি তাদের নিজেদের ধর্ম বজায় রাখে, তবে সেই পদার্থকে মিশ্র পদার্থ বলে।
(2) যৌগিক পদার্থে উপাদানগুলি পরষ্পর রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে অন্য পদার্থ উৎপন্ন করে। (2) মিশ্র পদার্থে উপাদানগুলি পাশাপাশি অবস্থান করে।
(3) যৌগিক পদার্থ সর্বদা সমসত্ত্ব হবেই। (3) মিশ্র পদার্থ সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব দুইই হতে পারে।
(4) যৌগিক পদার্থে মৌলিক উপাদানগুলি নির্দিষ্ট ওজন অনুপাতে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়। (4) মিশ্র পদার্থে মৌলিক উপাদানগুলি যেকোনো ওজন অনুপাতে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়।
(5) যৌগিক পদার্থে থাকা উপাদানগুলির রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে নতুন পদার্থে পরিণত হয়। (5) মিশ্র পদার্থে থাকা উপাদানগুলির নিজের নিজের ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না।
(6) যৌগিক পদার্থ উৎপন্নের সময় তাপের বর্জন বা শোষন হবেই। (6) মিশ্র পদার্থ উৎপন্নের সময় তাপের বর্জন বা শোষন হয় না।
(7) যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলিকে খুব সহজ উপায়ে পৃথক করা যায় না। (7) মিশ্র পদার্থের উপাদানগুলিকে খুব সহজ উপায়ে পৃথক করা যায়।


মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য:
মৌলিক পদার্থ যৌগিক পদার্থ
(1) যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থের উপাদান কণিকা ছাড়া অন্য কোনো পৃথক ধর্মের পদার্থের উপাদান কণিকা পাওয়া যায় না, তাদের মৌলিক পদার্থ বলে। (1) দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থের উপাদান কণিকা, নির্দিষ্ট ওজন অণুপাতে পরস্পর রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা যুক্ত হয়ে যে ভিন্ন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
(2) মৌলিক পদার্থের পরমাণুগুলির প্রতিটির ভর এবং ধর্ম একই। (2) যৌগিক পদার্থের গঠনকারী পরমাণুগুলির ভর, ধর্ম সব আলাদা হয়।
(3) প্রকৃতিতে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 112 টি, এর মধ্যে 92 টি মৌল প্রাকৃতিক এবং 20 টি মৌলকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। (3) প্রকৃতিতে যৌগিক পদার্থের সংখ্যা অনেক। বর্তমানে ওই সংখ্যা প্রায় 11 লক্ষেরও বেশী।
(4) মৌলিক পদার্থে, মৌলের অণু একই প্রকার পরমাণু দ্বারা গঠিত। (4) যৌগিক পদার্থে, যৌগের অণু বিভিন্ন প্রকার পরমাণু দ্বারা গঠিত।
(5) মৌলিক পদার্থের বহুরূপতা ধর্ম আছে। (5) যৌগিক পদার্থের বহুরূপতা ধর্ম নেই।
(6) মৌলিক পদার্থকে বিশ্লেষন করলে পৃথক ধর্মের কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না। (6) যৌগিক পদার্থকে বিশ্লেষন করলে পৃথক ধর্মের পদার্থ পাওয়া যায়।

No comments:

Post a Comment